সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ০৪:৩০ পূর্বাহ্ন
ভোলা প্রতিনিধি॥ নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগে ভোলা সদর উপজেলায় নিজামউদ্দিন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এইচ এম মইনুল হক শিপুকে সাময়িকভাবে বহিষ্কার করেছে স্কুল পরিচালনা (ম্যানেজিং) কমিটি।
গত শুক্রবার সন্ধ্যায় বিদ্যালয়ের সভাপতি মো. ইব্রাহীম বয়াতির সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় কমিটির সদস্য ও শিক্ষকদের উপস্থিতিতে তাকে সাময়িক বহিস্কারের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
সম্পর্কিত খবর
সভার কার্যবিবরণীতে (রেজুলেশনের) জানা যায়, বহিষ্কৃত প্রধান শিক্ষক মইনুল হক শিপু বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক থাকাকালে বিভিন্ন অনিয়ম ও দূর্নীতির মাধ্যমে বিদ্যালয়ের টাকা আত্মসাৎ করেন। যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো- ২০০৩ সাল থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত টিউশন ফির তিন লক্ষ পাঁচ হাজার টাকা আত্মসাৎ করেন। ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের ১৬০ জন শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে বোর্ড নির্ধারিত ফি এর পরিবর্তে ১০০০ টাকা করে আদায় করেন। অতিরিক্ত শাখা খোলার নামে বিদ্যালয় থেকে আড়াই লাখ টাকা আত্মসাৎ করেন। ২০১৭ সালে বিদ্যালয়ের ক্যাশ থেকে ৯৭ হাজার টাকা নিয়ে তার আর ফেরত দেননি।
জেএসসি ও এসএসসি পাশকৃত শিক্ষার্থীদের নিকট থেকে অবৈধভাবে মূল সনদ বাবদ এক হাজার টাকা করে আদায় করেন। ২০১৯ সালে প্রবেশপত্রের ৭৭ হাজার ১৫০ টাকা বিভিন্ন ছলচাতুরী করে আত্মসাৎ করেন। বিদ্যালয়ের বৃত্তিপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের টাকা আত্মসাৎ করেন।
এসব অভিযোগের ফলে বেসরকারি চাকরি বিধি ১১/গ ধারা লঙ্ঘন করায় প্রধান শিক্ষক এইচ এম মইনুল হক শিপুকে বহিষ্কারের জন্য বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সদস্য মো. শাজাহান মিয়া প্রস্তাব করেন। উক্ত প্রস্তাব উপস্থিত সদস্য মোরশেদা বেগম সমর্থন করলে সভাপতির সিদ্ধান্ত মোতাবেক প্রস্তাবটি গৃহীত হয়।
বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ইব্রাহীম বয়াতী বলেন, বিদ্যালয়ের অর্থ আত্মসাৎসহ বিভিন্ন অভিযোগে প্রধান শিক্ষক মইনুল হক শিপুকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়। তবে সাময়িক বহিষ্কারের বিষয়ে জানতে এইচ এম মইনুল হক শিপুকে মোবাইলে একাধিকবার চেষ্টা করেও পাওয়া যায়নি।
এ ব্যাপারে ভারপ্রাপ্ত জেলা শিক্ষা অফিসার মাধব চন্দ্র বলেন, আমি শুনেছি প্রধান শিক্ষককে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে। তবে কি অভিযোগে বহিষ্কার হয়েছে তা জানি না।
Leave a Reply